শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে। এ ক্ষেত্রে উভয় ধরনের শিক্ষাই একটি জাতির
উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণ শিক্ষা সাধারণত একজন মানুষকে উচ্চশিক্ষিত করে তোলে।
কিন্তু এই ধরনের শিক্ষা প্রায়শই একজন মানুষকে তার জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়, কারণ সাধারণ শিক্ষা
একজন ব্যক্তিকে বিশেষায়িত করে না।
সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা |
ফলে অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি বেকার থেকে যায় এবং অবশেষে তারা দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে, একজন মানুষ যার কারিগরি শিক্ষা আছে, তিনি কোনো না কোনোভাবে চাকরি পরিচালনা
করতে পারেন বা স্বাবলম্বী হতে পারেন। আমাদের যোগ্যতমের বেঁচে থাকার বয়স। সুতরাং, সাধারণ শিক্ষা
প্রায়শই একজন মানুষকে উপযুক্ত চাকরি দিতে পারে না। বরং এটি উচ্চ শিক্ষার কেরানি তৈরি করে।
সাধারণ শিক্ষা শিক্ষার চাহিদা পূরণ করতে পারে কিন্তু তা কারো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না।
বাংলাদেশের মতো একটি দেশে নিবেদিতপ্রাণ কর্মী প্রয়োজন যা কেবলমাত্র কারিগরি শিক্ষাই দিতে পারে।
আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, একজন তার এমবিবিএস কোর্স শেষ করে ব্যাংকে বা কোনো বাণিজ্যিক
প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাহলে সেই ডিগ্রির মান কোথায় থেকে যায়?
একজন অর্থ উপার্জনকারী মানুষ সাধারণত শিক্ষিত হতে পারে। তিনি তার জ্ঞান দ্বারা দেশ ও জাতির জন্য
অবদান রাখতে পারেন। বিপরীতে, কারিগরি শিক্ষা চাকরিমুখী। এটি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়া নিশ্চিত করে,
যেখানে সাধারণ শিক্ষা উত্তেজনা এবং হতাশা বাড়ায়। কারিগরি শিক্ষা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিত।
বিপরীতে সাধারণ শিক্ষা শুধুমাত্র নির্বাচিত ব্যক্তিদের জন্য হওয়া উচিত।
আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কারিগরি শিক্ষা অনিবার্য। কেরানি এবং কর্মকর্তাদের প্রয়োজন,
তবে কিছু দক্ষ কর্মী বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মনে রাখতে হবে উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই এবং
এই উৎপাদন দক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা সম্ভব। একজন দক্ষ কর্মী একজন উচ্চশিক্ষিত বেকার ব্যক্তির চেয়ে
পছন্দনীয়। যতক্ষণ শিক্ষা এবং জ্ঞান উদ্বিগ্ন হয় ততক্ষণ উভয় ধরনের শিক্ষাই স্বাগত। কিন্তু বাস্তবতা এবং
বাস্তবসম্মত মূল্যবোধের প্রশ্ন উঠলে তাদের আলাদা করা উচিত।
No comments:
Post a Comment